বাড়ির সামনে হয়ে থাকা নিম গাছের পাতা ও ডালের নানা রকম উপকারিতা আপনারা কি জানেন??

বাড়ির সামনে হয়ে থাকা নিম গাছের পাতা ও ডালের নানা রকম উপকারিতা আপনারা কি জানেন??

নিম এমনি একটা গাছ যার ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু পুরোনো এবং রোগ হরণ কারি গাছ। আকৃতিতে ৪৫-৬০ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ড চারিদিকে ২৫-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে অনেক নরম পত্র জন্ময়ায় পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতা গুলি কাটা কাটা আকারের হয়। নিম পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়। আঙুরের মতো দেখতে এ ফলের একটিই বিচি থাকে।  ফল ও নিম পাতা খুবই তেতো স্বাদের হয়।আমরা সবাই জানি যে তেতো জিনিস অনেক রোগ বিনাশে কাজে লাগে।
দাঁতের রোগে নিমগাছ
বহু প্রাচীন কাল থেকে দাঁত কে ভালো রাখতে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার প্রচলন রয়েছে। নিমের  ছাল কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, তার ফলে দাঁতে পোকা ধারার হাত থেকে রক্ষা পাবেন । নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে। নিম পাতা উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ হালকা ভাবে  ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়। এবং বুকে সর্দি জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর কিছু পরিমান  ফোঁটা রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
চুল ও খুশকির থেকে মুক্তিতে নিম পাতা

সুন্দর ও উজ্জ্বল,  চুল পেতে নিম পাতার উপকারিতা অবদান অপরিসীম। চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা হালকা উষ্ণ জল ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে চুল হালকা করে  ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি কয়েক দিন  দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার খুই দরকার।চুলে প্রতি সপ্তাহে ১-২দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের মতো রাখুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে  ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল থেকে খুস্কিও দূর হয়ে যাবে। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত ১দিন খাবেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন । এবং শ্যাম্পুর সাথে নিমপাতা বেটে মিশিয়ে মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিটের মতো রেখে অপেক্ষা করুন। তারপর আবার শেম্পু করুন আর সুন্দর উজ্জ্বল ও সুন্দর চুল পান । দুই চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন মতো টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ১দিন চুলে লাগালে উপকার হয়।


রূপ চার্চের ক্ষেত্রে নিমপাতা ও হলুদের ভূমিকা

রূপ চর্চার জন্য বহু দিন থেকে নিম পাতার ব্যাবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম পাতা খুব ভালো কাজ দেয়। তাছাড়াও এটি ত্বককে নরম ও কোমল করতেও  কাজ করে। খুব সহজে ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার বাড়িতে নিজের নিমপাতার বড়ি তৈরি করে খেতে পারেন।বড় ডিশে ফ্যানের বাতোসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমপাতা ব্যাবহার করলে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। তাই ত্বকের সুরক্ষার জন্য এটি খুবই ভালো। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুল্কানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় মাঝে মাঝে  লাগালে চুলকানি হয় না । নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ ও তেল পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে একটু কম হবে তবে কাঁচা হলুদ ব্যাবহার করবেন। নিমপাতা সিদ্ধ করে ফুটিয়ে  জলে মিশিয়ে স্নান করুন তাহলে উপকার পাবেন।এবং নিম পাতা ব্যাবহার করলে গায়ের দুর্গন্ধ চলে যায়।












Comments

Popular posts from this blog

আজীবনের জন্য চুল পড়া বন্ধ করুন মাত্র 3 দিনে

অল্প বয়সে চুল পাকার হাত থেকে মুক্তি পান মাএ কয়েক দিনেই

ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজে ব্রণের হাত থেকে মুক্তির উপায়